শেরপুরের ঝিনাইগাতী গারো পাহারের অভ্যন্তরে বণ্য হাতির দল তান্ডব চালিয়ে এলাকাবাসীর সবজি আবাদ সহ ব্যাপক ক্ষতি সাধিত করেছে । সদ্য রোপন করা কৃসকের বিভিন্ন ফসলের আবাদ নষ্ট করে করে যাচ্ছে। পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর নির্ঘুম রাত কাটচ্ছে। রাত জেগে পাহাড়া দিচ্ছে ফসলের মাঠ আর বাড়িঘর।
এলাকাবাসী জানান, ২ দিন ধরে বণ্যহাতির দল লোকালয়ে প্রবেশ করছে। অন্য কোন খাবার না থাকায় হাতির দল সদ্য রোপন করা সবজি করলা,ঝিংগা আবাদে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ঢাক-ঢোল পিটিয়ে, আগুনের মশাল ও পটকা বাজিয়েও তাদের দৌড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। এখন তারা আর ভয় পায় না। বরং উল্টো ধাওয়া করে। সোমবার রাতের আধাঁরে হাতির দল হঠাৎ প্রবেশ করে তাওয়াকুচা,রাংটিয়াও সন্ধাকুড়া গ্রামে । এ সময় হাতির দল-ওই গ্রামের, সদ্য রোপন করা আবাদি জমি খেয়ে পা দিয়ে পিষিয়ে দিয়েছে। সেখান থেকে ধাওয়া খেয়ে তারা গজনির পাশ দিয়ে চলে গিয়ে অন্য গ্রামে আক্রমণ চালায়।
ফলে কয়েক একর জমির ফসল বিনষ্ট করে ফেলে। মঙ্গলবার রাতেও ফসল নষ্ট করেছে হাতির দল।
হাতির দলকে ধাওয়া করে দৌড়ানোর চেষ্টা করলেও তারা যায় না। অবশেষে পটকার শব্দে ভোর রাতে তারা গভীর জঙ্গলে পালায়। এ অবস্থায় পাহাড়ি আধিবাসী হাতির আক্রমণের ভয়ে রাত জেগে বাড়িঘর ও ফসলের মাঠ পাহাড়া দিচ্ছেন।
সন্ধাকুড়া গ্রামের কেরামত আলী ও শাহা আলম গোমড়া গ্রামের মুন্জুর আলী,নূরনবী ও রেফাজ ফকির বলেন, আমাদের একমাত্র সম্বল কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল এলাকাবাসী । অনেক কষ্টে জমিটুকু আবাদ করেছি। হাতির দল আমার সহ প্রায় ৫০ জন কৃষকের সর্বনাশ করে দিয়েছে। এখন পুণরায় এই জমি আবাদ করার মতো সামর্থ্য আমাদের আর নেই। বিগত সময়ের চেয়ে এবার হাতির আক্রমনে এলাকায় কৃষকের ক্ষতি পরিমান অনেক বেড়ে তিনগুন দাড়িয়েছে । হাতির অত্যাচারে এলাকায় অভাব অনটন সহ জীবনের নিরাপত্তা বিঘিœত হচ্ছে । কয়েকটি গ্রামে প্রতিরাতেই হাতি হানা দিচ্ছে । তা প্রতিরোধের কোন উপায় না থাকায় পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষরা খুব কস্টে দিনাপাত করছেন
এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনূল ইসলাম বাদশা বলেন হাতির আক্রমন দির্ঘ দিন থেকে অব্যাহত রয়েছে । স্থায়ি ভাবে প্রতিরোধ করার জন্যে পরিকল্পনা চলছে । সোলার ফ্রেনসিং পদ্দতি এখন অকেজো হওয়ায় আক্রমনটা বেড়ে চলছে । তা অচিড়েই ভালো করে দেওয়া হবে । এ প্রকল্পের অধিনে যতটুকো এরিয়ার মধ্যে ব্যবস্থা করা হয়েছিলো তা প্রাথমিক ভাবে হাতির উপদ্রব হ্রাস পেয়েছিলো ।
এই সময়ে কখনো হাতির আক্রমণ হয় নি। কারণ এখন গাছের ফল নেই, মাঠে পাকা ধান নেই। হাতি কেন আসবে? তবে মনে হয় পাহাড়ে হাতির খাবার নেই। তাই তারা লোকালয়ে প্রবেশ করছে এবং আবাদি জমির ফসল নষ্ট করছে।
No comments:
Post a Comment