মাদক ইয়াবা !!
অদ্য থানার সেরেস্তা হতে মামলার এজাহার প্রাপ্ত হয়ে মামলার ডাইরী পত্তন করে এজাহার পর্যালোচনা করলাম। এজাহারের সংক্ষিপ্ত বিবরণ
এই যে, বাদী সংগীয় ফোর্স, ধৃত আসামী ১। (759KL) মোঃ জাবেদ (২৭), পিতা- মৃতঃ ধলু মিয়া
স্থায়ী : গ্রাম- দক্ষিন মৌড়াইল, উপজেলা/থানা- ব্রাহ্মনবাড়িয়া সদর, ব্রাম্মনবাড়িয়া,
বাংলাদেশ বর্তমান : গ্রাম- ৮১ নং বৌবাজার (শাহজাহান জমিদারের বাড়ীর ভাড়াটিয়া) , উপজেলা/থানা-
হাজারীবাগ, ঢাকা, বাংলাদেশ এবং তার হেফাজত হতে উদ্ধারকৃত সাদা পলি প্যাকের ভিতর রক্ষিত
২১ (একুশ) পিস লাল রংয়ের ইয়াবা ট্যাবলেট, ওজন অনুমান ০২ (দুই) গ্রাম মূল্য অনুমান ৪২০০/=
সহ থানায় এজাহার দায়ের করেন যে, হাজারীবাগ থানার নৈশ সিসি নং-২৩৯/১৭ এবং জিডি নং-৩৭৩
তা-১১/০২/১৬ ইং মূলে এলাকায় ডিউটি করা কালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৩.৫৫ ঘটিকায় অত্র
থানাধীন ৪২/২ সনাতনগড় লাট মিয়ার হোটেলের সামনে পাকা রাস্তার হতে উক্ত আসামীকে আলোচ্য
ইয়াবা ট্যাবলেট সহ হাতেনাতে ধৃত করেন এবং ০০.১৫ ঘটিকায় বাদী জব্দতালিকা মূলে জব্দ করেন।
মর্মে বাদীর দায়েরকৃত এজাহারের প্রেক্ষিতে অত্র মামলা রুজু করা হয় এবং তদন্তভার আমার
নামে হাওলা হওয়ায় আমি মামলার তদন্তভার গ্রহন করি।
ডাইরী পত্তন ও রওনা: অদ্য থানায় ডাইরী পত্তন করে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।
ডাইরী বন্ধ- পরবর্তী তদন্ত সাপেক্ষ্যে অদ্য তদন্ত মূলতবি রেখে মামলার ডাইরী বন্ধ করলাম।
আসামী গ্রেফতার ও আলামত জব্দ সংক্রান্তে নোট, আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ ও কোর্টে প্রেরণ
এজাহার, জব্দতালিকা ও আলামত পর্যালোচনা করে আলামত নিজ হেফাজতে গ্রহন করিলাম এবং বাদী কর্তৃক ঘটনার সময় হাতে নাতে ধৃত আসামী ১। (766VQ) চন্দন কর্মকার (৪২), পিতা- বিমল কর্মকার স্থায়ী : গ্রাম- ভাগলপুর (সাং-জেলে পাড়া,ভাগলপুরলেন মন্দিরের গলির ভিতরে) , উপজেলা/থানা- হাজারীবাগ, ঢাকা, বাংলাদেশ বর্তমান : গ্রাম- এনায়েতগঞ্জ (৭০/১ এনায়েত গঞ্জ) , উপজেলা/থানা- হাজারীবাগ, ঢাকা, বাংলাদেশ ২। (7638D) মোঃ সুমন (২৫), পিতা- মৃত ফকির চান স্থায়ী : গ্রাম- এনায়েতগঞ্জ (সাং-৭০/১ এনায়েত গঞ্জ) , উপজেলা/থানা- হাজারীবাগ, ঢাকা, বাংলাদেশ অত্র মামলার এজাহার নামীয় আসামী বিধায় তাদের অত্র মামলায় গ্রেপ্তার পূর্বক থানা হাজতে বিধি মোতাবেক আটক রাখিলাম এবং ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করিলাম। তাদের প্রদত্ত তথ্যাদি যাচাই এ তৎপর থাকিয়া পুলিশ প্রহরার মাধ্যমে আসমীদেরকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করিলাম।
আসামীর নাম-ঠিকানা স্বভাব-চরিত্র যাচাই এর জন্য তাহাদের সংশ্লিষ্ঠ থানা বরাবর অত্র থানার ই/এস নং-০/১৭ প্রেরণ করা হল।
আলামত ধ্বংসের, নমুনা পরীক্ষার অনুমতির আবেদন
অত্র মামলার জব্দকৃত আলামত ১। ১০০ (একশত) গ্রাম গাঁজা এবং ২০ (বিশ) পিছ কথিত নেশা জাতীয় লালচে রংয়ের ইয়াবা ট্যাবলেট প্রকৃত পক্ষে নেশাজাতীয় কিনা তাহা রাসায়নিক পরীক্ষা পূর্বক নিশ্চিত হওয়ার লক্ষ্যে নমুনা স্বরুপ ০২ (দুই) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ০৫(পাঁচ) গ্রাম গাঁজা রাসায়নিক পরীক্ষার অনুমতি সহ ক্ষমতা প্রদানের এবং নমুনা স্বরুপ ০২ (দুই) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ০৫(পাঁচ) গ্রাম গাঁজা সংরক্ষনের জন্য রাখিয়া অবশিষ্ঠ
৯০ (নব্বই) গ্রাম গাঁজা ও ১৬ (ষোল) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট রাসায়নিক বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক ধ্বংসের জন্য আবেদন পত্র দাখিল করিলাম।
মামলাটি তদন্তের জন্য সংগীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।
হাজির, ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও নোট
আমি সংগীয় ফোর্স সহ মামলার ঘটনাস্থলে পৌঁছিলাম এবং মামলার বাদীকে পাইয়া তার ও উপস্থিত সাক্ষীদের দেখানো ও সনাক্ত মতে মামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করিতে আরম্ভ করিলাম। ঘটনাস্থল হল-অত্র থানাধীন হাজারীবাগ পার্কের গেটের সামনে পাকা রাস্তার উপর। রাস্তাটি পূর্ব পশ্চিম দিকে প্রসারিত। ওয়ার্ড নং-২২, হাজারীবাগ, ঢাকা, বাংলাদেশ, ২ কিমি, উত্তর-পশ্চিম দিক, বিট নং-৪, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন দক্ষিন, হাজারীবাগ পুলিশ ফাঁড়ীর আওতাধীন।
চৌহুদ্দিঃ
উত্তরেঃ হাজারীবাগ
পার্ক পরে ২২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর কার্যালয়।
দক্ষিনেঃনিলাম্বর
সাহা রোডস্থ স্বপনদের ৬ তলা বিল্ডিং ও খগেন এর দধি ভান্ডার দোকান।
পূর্বেঃ
নিলাম্বর সাহা রাস্তার বিস্তৃতি যা সেকশন দিকগামী পাশে দোকান পাট।
পশ্চিমেঃ-নিলাম্বর
সাহা রাস্তার বিস্তৃতি যা হাজারীবাগ বাজার গামী পাশে দোকান পাট।
ঘটনাস্থলের খসড়া মানচিত্র ও সূচীপত্রঃ
ক=ঘটনাস্থল, যাহা অত্র থানাধীন হাজারীবাগ পার্কের
গেটের সামনে পূর্ব-পশ্চিম দিকগামী পাকা রাস্তার উপর।
খ=হাজারীবাগ পার্কের
গেট।
গ= হাজারীবাগ পার্ক।
ঘ=পানির পাম্প।
ঙ= আলমগীরের
দোতলা ভাংগা বাড়ি ও ফলের দোকান।
চ=চায়ের দোকান।
ছ=স্বপনের ছয় তলা বিল্ডিং ও
খগেন এর দধি ভান্ডার।
জ=কামালের দোতলা বাড়ি ও কামাল ডেকরেটর।
ঝ=৩৬ নং নিলাম্বর সাহা রোডস্থ গফ্ফার মিয়া চার তলা বিল্ডিং ও
শহিদের ফাষ্ট ফুডের দোকান।
ঞ= একটি রাস্তা যাহা উত্তর দিকে বাড্ডানগর দিকগামী।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ঘটনাস্থলের খসড়া মানচিত্র ও সূচীপত্র পৃথক পৃথক কাগজে তৈরি করে ডকেটে সংযুক্ত রাখলাম।
বাদীকে জিজ্ঞাসাবাদ, আলামত জব্দের চেষ্টা ও নোট
মামলার বাদীকে মামলার ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করিলাম। তিনি এজাহারের অনুরুপ বিবৃতি প্রদান করায় তার জবানবন্দি কাঃ বি ঃ ১৬১ ধারা মতে পৃথক কাগজে রেকর্ড করিবার প্রয়োজন মনে করিলাম না।
মামলার ঘটনাস্থল হতে সংশ্লিষ্ট আলামত জব্দের চেষ্টা করিলাম। জব্দ করার মত কোন আলামত পাওয়া গেল না। তবে মামলার বাদী মামলার ঘটনার দিন ও সময় মামলার ঘটনাস্থল হতে আলোচ্য মাদক উদ্ধার মূলে জব্দ করেন। যাহা মামলার মূল আলামত হিসেবে গন্য করিলাম। বিষয়টি নোট রাখিলাম।
জিজ্ঞাসাবাদ, সাক্ষী গ্রহন ও নোট
মামলার ঘটনার বিষয়ে আশে পাশের লোকজনদের গোপন ও প্রকাশ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করিলাম। জব্দতালিকার নিম্নবর্নিত সাক্ষীদের পাইয়া ঘটনা সংক্রান্তে জিজ্ঞাসাবাদ করতঃ তাহাদের জবানবন্দি কাঃ বিঃ ১৬১ ধারামতে পৃথক কাগজে রেকর্ড করিয়া অত্র সাথে সংযুক্ত রাখিলাম।
সাক্ষীদের নাম ও ঠিকানাঃ
১। মোঃ-শামীম (২৬) পিতা-মোঃ শফিকুর রহমান সাং-পানু মুন্সী গ্রাম- কাজীপাড়া থানা-বদরগঞ্জ জেলা-রংপুর এ/পি-্আনসার/ হাজারীবাগ থানা, ডিএমপি, ঢাকা। (০১৭৯৩৩০০৫৮৭)
২। মোঃ রাব্বি (১৮) পিতা -মোঃ হান্নান খান সাং -ভাগলপুর মন্দিরগলি লতিফ মিয়ার বাড়ির নিচতলা থানা-হাজারীবাগ, ঢাকা (০১৯৯৮৮২৭৬৫৪)
৩। মোঃ ছায়েদ আলী (৩০) পিতা-মৃত আঃ কাদের সাং-পুকুটিয়া থানা-শ্রীনগর জেলা-মুন্সিগঞ্জ এ/পি-পূর্ব রসুলপুর ২ নং গলি, থানা-কামরাঙ্গীরচর, ঢাকা।
অদ্য আর কোন সাক্ষীকে পাওয়া গেল না। জিজ্ঞাসাবাদে জোর তৎপর থাকিলাম। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, উক্ত আসামী পেশাদার মাদক বিক্রেতা বলিয়া জানা যায়। সে মামলার ঘটনার দিন ও সময় মামলার ঘটনাস্থল হতে আলোচ্য মাদক সহ বাদী কর্তৃ ক হাতে নাতে ধৃত হয় বলিয়া জানা যায়। মামলার তদন্ত চলিতেছে।
সোর্স নিয়োগ ও মাদক উদ্ধারের চেষ্টা
অত্র মামলার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনের, আসামীর সঠিক নাম ঠিকানা সন্ধান, মামলা সংক্রান্ত্রে আরও মাদকের সন্ধান সংগ্রহ সহ সময় মত আমাকে জানানোর জন্য প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করে এলাকায় আমার বিশ্বস্থ সোর্স নিয়োগ করলাম।
মামলায় নিয়োজিত সোর্সের সহায়তায় অভিযান চালিয়ে আরও মাদক উদ্ধারের ও জড়িতদের নাম-ঠিকানা সন্ধান সংগ্রহের এবং আটকের চেষ্টা করলাম। অদ্য কোন সুফল পাওয়া গেল না। চেষ্টা অব্যাহত আছে।
হাজির,
জিজ্ঞাসাবাদ, সাক্ষী গ্রহনের চেষ্টা
অত্র মামলার ঘটনার বিষয়ে আশে-পাশের লোকজনদের, এলাকার লোকজন সহ নিরপেক্ষ সাক্ষীদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে মামলার ঘটনা সংক্রান্তে অবগত, কিংবা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সাক্ষীদের জবানবন্দী রেকর্ড করার চেষ্টা করলাম। কিন্তু অদ্য কোন সাক্ষী পাওয়া গেল না। চেষ্টা অব্যাহত আছে।
হাজির,
জিজ্ঞাসাবাদ ও সাক্ষী গ্রহন
আমি
সংগীয় ফোর্সসহ মামলার ঘটনাস্থল পৌছিলাম এবং ঘটনাস্থলের আশে পাশের লোকজন সহ নিরপেক্ষ
লোকজনকে ও সংশ্লিষ্ঠ সাক্ষীদের মামলার ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলাম। মামলার ঘটনা
সংক্রান্তে অবগত নিম্মবর্নিত সাক্ষীকে পাইয়া তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার জবানবন্দী ফৌঃ
কাঃ বিঃ আইনের ১৬১ ধারা মোতাবেক পৃথক কাগজে লিপিবদ্ধ করে অত্র সাথে সংযুক্ত করলাম।
সাক্ষীর
নাম ও ঠিকানাঃ
১।
আসামী গ্রেপ্তারের চেষ্টা
ঘটনাস্থল এলাকায় অবস্থানকালে মামলায় নিয়োজিত সোর্সের সহায়তায় এলাকার সম্ভাব্য সকল স্থানে গোপনে ও প্রকাশ্যে অভিযান পরিচালনা করে আসামীদের এর পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা, সন্ধান সংগ্রহের, গ্রেপ্তারের ও চোরাই মাল উদ্ধারের চেষ্টা করলাম। কিন্তু অদ্য কোন সন্ধান না পাওয়া গেল না । আসামী গ্রেপ্তারে ও চোরাই মাল উদ্ধারের জোর চেষ্টা অব্যাহত আছে। নিয়োজিত সোর্সকে আরও তৎপর হওয়ার জন্য উৎসাহিত করা সহ পরামর্শ প্রদান করলাম।
২ নং সিডি
আদেশনামা প্রাপ্তি ও নোট
অদ্য থানার সেরেস্তার মাধ্যমে অত্র মামলা সংক্রান্ত বিজ্ঞ আদালতের আদেশনামা প্রাপ্ত হলাম। পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, বিজ্ঞ আদালতের আদেশ নং-৩ তারিখ-১৪/০৫/১৭ ইং মূলে মামলার জব্দকৃত আলামত ৬০ (ষাট) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট হতে নমুনা স্বরুপ ০২ (দুই) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট রাসায়নিক পরীক্ষার্থে প্রেরণের অনুমতি সহ ক্ষমতাপত্র প্রদান করেছেন এবং নমুনা স্বরুপ ০২ (দুই) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সংরক্ষনের জন্য রেখে অবশিষ্ট ৫৮ (আটান্ন) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক ধ্বংস করা হয়। বিষয়টি নোট করতঃ আদেশনামা ডকেটে সংযুক্ত রাখা হল।
নমুনা আলামত পরীক্ষার্থে প্রেরণ
অত্র মামলার জব্দকৃত আলামত হতে বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক সীলগালাকৃত নমুনা স্বরুপ ০২ (দুই) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট রাসায়নিক পরীক্ষা পূর্বক মতামত প্রদানের নিমিত্তে চালান মোতাবেক প্রধান রাসায়রিক পরীক্ষক, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ঢাকা বরাবর প্রেরণ করা হল। বিষয়টি নোট রাখলাম।
আদেশনামা প্রাপ্তি ও নোট
মামলার তদন্ত ডাইরী পত্তন করে অত্র মামলা সংক্রান্তে বিজ্ঞ আদালতের আদেশনামা প্রাপ্ত হইয়া পর্য়ালেচনায় দেখা যায় যে, অত্র মামলার এজাহার নামীয় আসামী মুজিবুর রহমান (৫৩) বিজ্ঞ আদালতে আত্মসমার্পন করে জামিনে মুক্তি লাভ করে। বিষয়টি নোট করতঃ আদেশনামার কপি ডকেটে সংযুক্ত রাখা হল।
মামলার তদন্ত ডাইরী পত্তন করে অত্র মামলা সংক্রান্তে
বিজ্ঞ আদালতের আদেশ নং-১৪ ইং ২৩/০২/১৭ তারিখের আদেশনামা থানার সেরেস্তা হতে প্রাপ্ত
হয়ে পর্য়ালোচনায় দেখা যায় যে, আমার আবেদনের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত আমার আবেদন মঞ্জুর
করতঃ আসামী লাইলী, মায়া বেগম, লিজা আক্তার ওরফে পায়েল, ইতি আক্তার ও সুমন ওরফে ইস্কান্দার
মৃধা গনদের আগামী ০৫ (পাঁচ) কার্য দিবসের মধ্যে ০১ (এক) দিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার/আমার
নিকট হাজির হওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। বিষয়টি নোট করতঃ আদেশনামার কপি ডকেটে সংযুক্ত
রাখা হল।
২ নং সিডি
সাক্ষী গ্রহন ও নোট
অদ্য থানায় মামলার ডাইরী পত্তন করিলাম এবং মামলার ঘটনার বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শি নিম্নবর্নিত পুলিশ সদস্য সাক্ষীদের পাইয়া ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞসাবাদ করিলাম। তাদের সকলের বক্তব্য একই রকম তথা এজাহার অনুরুপ হওয়ায় শৃধু মাত্র কং/২৭৯৬৮ খলিলুর রহমান এর জবানবন্দি কাঃ বিঃ ১৬১ ধারামতে রেকর্ড করিয়া ডকেটে সংযুক্ত রাখিলাম। নিম্নবর্নিত সকলকে মামলার সাক্ষী হিসাবে গ্রহন করা হল। তারা বিজ্ঞ আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করবেন। বিষয়টি নোট রাখা হল।
সাক্ষীদের নাম ও পদবীঃ
তদন্ত তদারকি প্রতিবেদন প্রাপ্তি, নোট
অত্র মামলা সংক্রান্তে জনাব, মোহাম্মাদ আশরাফুল ইসলাম, অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার (ধানমন্ডি জোন), রমনা বিভাগ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, ঢাকা মহোদয়ের তদন্ত তদারকি প্রতিবেদন থানার সেরেস্তা হতে প্রাপ্ত হয়ে পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, তিনি গত ২১/১২/১৬ তারিখ অত্র মামলার তদন্ত তদারকি করেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্ত তদারকি প্রতিবেদন থানা বরাবর প্রেরণ করেন। উহা পর্যালোচনান্তে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের প্রদত্ত দিক-নির্দেশনা পালনের তৎপরতা অব্যাহত রেখে ডকেটে সংযুক্ত রাখা হল।
তদন্ত কালে, আমি সরেজমিনে মামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন সহ ঘটনাস্থলের খসড়া মানচিত্র ও সূচীপত্র পৃথক কাগজে তৈরি করি। আলামত জব্দের চেষ্টা করি। বাদী, সাক্ষীদের, আশে-পাশের লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করতঃ সাক্ষীদের জবানবন্দি কাঃ বিঃ ১৬১ ধারামতে রেকর্ড
করি। বাদী কর্তৃক ধৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিয়া কোর্টে
প্রেরণ করি। আসামীর নাম-ঠিকানা যাচাই এর জন্য সংশ্লিষ্ঠ
থানা বরাবর ই/এস প্রেরণ করি।
সময়ের আবেদন
মামলাটি তদন্তধীন আছে। মামলার জব্দকৃত আলামত হতে প্রেরিত নমুনা আলামতের রাসায়নিক পরীক্ষার রিপোর্ট অদ্যবদি পাওয়া যায় নাই। ফলে মামলাটি নিষ্পত্তি করা সম্ভব হইতেছে না। অপরদিকে মামলার নির্ধারিত তদন্ত সময়সীমা শেষ হওয়ায় মামলার সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে মামলাটিতে ০৭ (সাত)
কার্যদিবস তদন্ত সময়সীমা বর্ধিত করা একান্ত প্রয়োজন। বিধায় মামলার সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে মামলাটিতে ০৭ (সাত)
কার্যদিবস তদন্ত সময়সীমা বর্ধিত করার আবেদন করা হল।
ডাক্তারী সনদ পত্রের আবেদন
থানায় মামলার তদন্ত ডাইরী
পত্তন করে মামলার বাদীর স্ত্রী/জখমী (৪০) মামলার ঘটনার দিন ও সময় মামলার বিবাদী কর্তৃক শারিরিক আঘাত প্রাপ্ত
হয়ে দ্রুত চিকিৎসার নিমিত্তে গত ইং-০১/০৮/১৬ খ্রিঃ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বর্হিবিভাগীয়
রোগীর টিকিটের ক্রমিক নং-৯০৬/৯০৬ মূলে জরুরী বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা করান বলিয়া জানা
যায়। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মামলার জখমীর জখমী সনদ/ডাক্তারী চিকিৎসা সনদ পত্র
অতিঃসত্তর সরবারাহ করা একান্ত প্রয়োজন। বিধায় জখমীর ডাক্তারী সনদ পত্র সরবরাহের নিমিত্তে
পরিচালক, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা বরাবর গত ইং-১৯/০৮/১৬ তারিখ আবেদন করা হয়।
বিষয়টি নোট রাখা হল।
আলোচনা ও নোট
থানায় মামলার তদন্ত ডাইরী পত্তন করে অত্র মামলার তদন্ত অগ্রগতি নিয়ে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সহ অফিসার ইনচার্জ সাহেবের সাথে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা করলাম। তারা মামলার ডকেট পর্যালোচনা করে আমার তদন্ত ফলাফলের সাথে একমত পোষন করতঃ সন্তোষ প্রকাশ করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা ও পরামর্শ প্রদান করেন। বিষয়টি নোট করতঃ পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহনে তৎপর রইলাম।
অত্র মামলার তদন্ত ফলাফল নিয়ে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সহ অফিসার ইনচার্জ সাহেবের সাথে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা করলাম। তারা মামলার ডকেট পর্যালোচনা করে আমার তদন্ত ফলাফলের সাথে একমত পোষন করতঃ সন্তোষ প্রকাশ করে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির পরামর্শ প্রদান করেন। বিষয়টি নোট করতঃ পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহনে তৎপর রইলাম।
বাদির সহিত আলোচনা
থানায়
অবস্থান কালে মামলার তদন্ত ডাইরী পত্তন করে মামলার বাদীকে পাইয়া তার সহিত আলোচনা করিলাম।
তিনি অদ্য কোন সাক্ষীকে আমার নিকট হাজির করিতে
না পারায় ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৬১ ধারা মতে জবানবন্দী রেকর্ড করা সম্ভব হল না। বাদীকে
তাহার সাক্ষীদের ও জখমী সনদ পত্র আমার নিকট উপাস্থাপন করার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ
করিলাম । তিনি পরবর্তীতে সাক্ষীদের আমার নিকট হাজির করবেন বলে জানান। জিজ্ঞাসাবাদে
জোর তৎপরতা রেখে বিষয়টি নোট রাখিলাম।
বাদির সহিত আলোচনা
মামলার বাদীর সহিত ফোনে মামলা সংক্রান্তে আলোচনা
করিলাম। তিনিও অদ্য কোন সাক্ষীকে আমার নিকট
হাজির করিতে না পারায় ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৬১ ধারা মতে জবানবন্দী রেকর্ড করা সম্ভব হল
না। বাদীকে তাহার সাক্ষীদের ও জখমী সনদ পত্র আমার নিকট উপাস্থাপন করার জন্য বিশেষ ভাবে
অনুরোধ করিলাম । সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদে জোর তৎপর থাকলাম।বিষয়টি নোট রাখিলাম।
ডকেট চালান
সূত্রে বর্নিত মামলাটি তদন্ত শেষে অত্র থানার অভিযোগ পত্র নং-৪৩ তারিখ-২৬/০২/২০১৭ ইং ধারা- ১৯(১) এর ৭(ক) ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন দাখিল করা হয়েছে। যাহার মূল অভিযোগপত্র, মূল খসড়া মানচিত্র ও সূচীপত্র, মূল রাসায়নিক রিপোর্ট সহ মূল নথি/জুডিশিয়াল ডকেট যাহার পাতা নং-০১ হতে ---------পাতা পর্যন্ত এবং ডুপ্লিকেট অভিযোগ পত্র, কেস ডাইরী, সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সহ পূর্ণাঙ্গ ডকেট যাহার পাতা নং০১ হতে ----------পাতা পর্যন্ত বিচারের নিমিত্তে চালান মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হল।
আলামত
চালান
সূত্রে বর্নিত মামলাটি তদন্ত শেষে অত্র থানার অভিযোগ পত্র নং-৪৩ তারিখ-২৬/০২/২০১৭ ইং ধারা- ১৯(১) এর ৭(ক) ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন দাখিল করা হয়েছে। যাহার নিম্নবর্নিত আলামত বিচারের জন্য চালান মূলে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হল।
ই/এস এর জবাব প্রাপ্তি, নোট
থানায় মামলার তদন্ত ডাইরী পত্তন করে অত্র মামলার এজাহার নামীয় গ্রেপ্তারকৃত
আসামী ইতি আক্তার ও আবুল কাশেম ওরফে সেলিম দ্বয় সংক্রান্তে প্রেরিত ই/এস এর জবাব অদ্য
থানার সেরেস্তা হতে প্রাপ্ত হয়ে পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, সংশ্লিষ্ট বাড্ডা থানার এএসআই/মোঃ
মোস্তাফিজার রহমান তদন্ত পূর্বক এসসিডি এর মাধ্যমে জানান যে, উক্ত আসামী ইতি আক্তার
(১৮) পিতা-মৃত বকুল ভুইয়া মাতা-আয়েশা আক্তার প্রযত্নে মোঃ রফিকুল ইসলাম, প্লট নং-২০৭৮
মৃত রমিজ উদ্দিন এর বাড়ির ভাড়াটিয়া, কবরস্থান রোড, পূর্ব বাড্ডা থানা-বাড্ডা, ঢাকায়
ভাড়াটিয়া হিসাবে বসবাস করে বলে উল্লেখ সহ তার প্রদত্ত নাম-ঠিকানা সঠিক আছে। বিষয়টি
নোট করতঃ এসসিডি ডকেটে সংযুক্ত রাখা হল।
রাসায়নিক রিপোর্ট প্রাপ্তি ও নোট
থানায় মামলার ডাইরী পত্তন করে মামলা সংক্রান্তে প্রেরতি নমুনা আলামতের রাসায়নিক পরীক্ষার রিপোর্ট প্রাপ্ত হইয়া পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, জনাব মোঃ আবু হাসান, রাসায়নিক পরীক্ষক, (ভারপ্রাপ্ত),মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ঢাকা সাহেব নমুনাটি রাসায়নিক পরীক্ষা পূর্বক রাসায়নিক রিপোর্ট
নং-ডি-ঢামে-৭৬২/১৭ মূলে মতামত প্রদান করেন যে, ১টি খাকী খামে
প্রাপ্ত
০১টি প্লাষ্টিকের বোতলে ১০০ মিঃলিঃ বাদামী তরল পদার্থে “অপিয়াম উদ্ভুত কোডিন পাওয়া গিয়াছে । সীলমোহর অক্ষত ছিল। যাহা রাসায়নিক পরীক্ষার মতামত
অনুযায়ী প্রাপ্ত উপাদানটি নেশাজাতীয় মাদক দ্রব্য হিসেবে গন্য।
তদন্ত কালে, সরেজমিনে মামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন সহ খসড়া মানচিত্র, সূচীপত্র অংকন, আলামত জব্দের চেষ্টা করি। বাদি, সাক্ষীদের, আশে পাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সংশ্লিষ্ট সাক্ষীদের জবানবন্দি কাঃ বিঃ ১৬১ ধারামতে রেকর্ড করি। বাদী কর্তৃক ধৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করি। নাম-ঠিকানা যাচাই করি। আবেদনমতে আলামত হতে বিজ্ঞ আদালতের অনুমতি সহ ক্ষমতা পত্র মূলে নমুনা স্বরুপ ০২ (দুই) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ০৫(পাঁচ) গ্রাম গাঁজা রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়, নমুনা স্বরুপ ০২(দুই) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ০৫(পাঁচ) গ্রাম গাঁজা সংরক্ষনের জন্য রাখিয়া ১৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৯০ (নব্বই) গ্রাম গাঁজা বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক ধ্বংস করা হয়। মামলা সংক্রান্তে প্রেরতি নমুনা আলামতের রাসায়নিক পরীক্ষার মতামত প্রাপ্ত হয়ে পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, জনাব, মোঃ আবু হাসান, রাসায়নিক পরীক্ষক (ভারপ্রাপ্ত), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, গেন্ডারিয়া, ঢাকা সাহেব নমুনাটি রাসায়নিক পরীক্ষা পূর্বক রিপোর্ট নং-ডি-ঢামে---------/১৭ মূলে মতামত প্রদান করেন যে, ১টি খাকি খামে প্রাপ্ত .০১৯৮ গ্রাম ২টি লালচে ট্যাবলেটে “মিথাইল অ্যাম্ফিটামিন পাওয়া গিয়াছে”। রাসায়নিক পরীক্ষার মতামত অনুযায়ী প্রাপ্ত উপাদানটি মাদক দ্রব্য হিসেবে বিবেচিত।
মামলার সার্বিক তদন্তে, প্রাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমানে, ঘটনার পারি পাশ্বিকতায়, জব্দকৃত আলামত দৃষ্টে ও নমুনা আলামতের রাসায়নিক পরীক্ষার মতামত অনুযায়ী অত্র মামলার এজাহার নামীয় গ্রেপ্তারকৃত আসামী ১। (766VQ) চন্দন কর্মকার (৪২), পিতা- বিমল কর্মকার স্থায়ী : গ্রাম- ভাগলপুর (সাং-জেলে পাড়া,ভাগলপুরলেন মন্দিরের গলির ভিতরে) , উপজেলা/থানা- হাজারীবাগ, ঢাকা, বাংলাদেশ বর্তমান : গ্রাম- এনায়েতগঞ্জ (৭০/১ এনায়েত গঞ্জ) , উপজেলা/থানা- হাজারীবাগ, ঢাকা, বাংলাদেশ ২। (7638D) মোঃ সুমন (২৫), পিতা- মৃত ফকির চান স্থায়ী : গ্রাম- এনায়েতগঞ্জ (সাং-৭০/১ এনায়েত গঞ্জ) , উপজেলা/থানা- হাজারীবাগ, ঢাকা, বাংলাদেশ পেশাদার মাদক বিক্রেতা হিসাবে এলাকায় পরিচিত। সে অত্র মামলার ঘটনার তারিখ ও সময়ে মামলার ঘটনাস্থল হতে আলোচ্য ইয়াবা ট্যাবলেট সহ বাদী কর্তৃক হাতে নাতে ধৃত হয় বলে তদন্তে সত্যতা প্রকাশ পায়। যাহা অত্র মামলার এজাহার নামীয় গ্রেপ্তারকৃত আসামী ১। (766VQ) চন্দন কর্মকার (৪২), পিতা- বিমল কর্মকার স্থায়ী : গ্রাম- ভাগলপুর (সাং-জেলে পাড়া,ভাগলপুরলেন মন্দিরের গলির ভিতরে) , উপজেলা/থানা- হাজারীবাগ, ঢাকা, বাংলাদেশ বর্তমান : গ্রাম- এনায়েতগঞ্জ (৭০/১ এনায়েত গঞ্জ) , উপজেলা/থানা- হাজারীবাগ, ঢাকা, বাংলাদেশ ২। (7638D) মোঃ সুমন (২৫), পিতা- মৃত ফকির চান স্থায়ী : গ্রাম- এনায়েতগঞ্জ (সাং-৭০/১ এনায়েত গঞ্জ) , উপজেলা/থানা- হাজারীবাগ, ঢাকা, বাংলাদেশ এর বিরুদ্ধে ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) টেবিলের এর ৯(ক)/৭(ক) ধারামতে অভিযোগ সত্য বলে প্রমানিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিলের জন্য আমার মতামত ও তদন্ত ফলাফল ব্যক্ত করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মামলার ফলাফল অবহিত করলে তারা আমার তদন্ত ফলাফল ও মতামতের সহিত একমত পোষন করায় বিচারের নিমিত্তে অত্র থানার অভিযোগ পত্র নং------- তারিখ-------/২০১৭ ধারা- ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) টেবিলের এর ৯(ক) দাখিল করিলাম। আসামী সংক্রান্তে প্রেরিত ই/এস এর জবাব পাওয়া যায় নাই। জবাব পাওয়া গেলে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হবে। বাদীকে ফলাফল জানানো হল। সাক্ষীগন বিজ্ঞ আদালতে ঘটনার সত্যতা প্রমাণ করবেন।
এজাহার নামীয় গ্রেপ্তারকৃত তদন্তে অভিযুক্ত আসামীঃ
১। (759KL) মোঃ জাবেদ (২৭), পিতা- মৃতঃ ধলু মিয়া স্থায়ী : গ্রাম- দক্ষিন মৌড়াইল, উপজেলা/থানা- ব্রাহ্মনবাড়িয়া সদর, ব্রাম্মনবাড়িয়া, বাংলাদেশ বর্তমান : গ্রাম- ৮১ নং বৌবাজার (শাহজাহান জমিদারের বাড়ীর ভাড়াটিয়া) , উপজেলা/থানা- হাজারীবাগ, ঢাকা, বাংলাদেশ
উক্ত আসামীকে গ্রেপ্তার পূর্বক গত ইং-১২/০২/১৭ তারিখ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। আসামী সংক্রান্তে প্রেরিত ই/এস এর জবাব পাওয়া যায় নাই। জবাব পাওয়া গেলে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হবে।
আলামতঃ
সাদা পলি প্যাকের ভিতর রক্ষিত ২১ (একুশ) পিস লাল রংয়ের ইয়াবা ট্যাবলেট, ওজন অনুমান ০২ (দুই) গ্রাম মূল্য অনুমান ৪২০০/=
উক্ত আলামত হতে বিজ্ঞ আদালতের অনুমতি সহ ক্ষমতা পত্র মূলে নমুনা স্বরুপ ০২ (দুই) পিস ইয়াবা র্ট্যাবলেট রাসায়নিক পরীক্ষা করিয়ে মতামত সংগ্রহ করা হয় এবং ১৭ (আট) পিস ইয়াবা র্ট্যাবলেট বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক ধ্বংস করা হয়।
অবশিষ্ঠ নমুনা স্বরুপ সংরক্ষিত ও বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক সীলগালাকৃত নমুনা স্বরুপ ০২ (দুই) পিস ইয়াবা র্ট্যাবলেট বিচারর নিমিত্তে চালান মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হল।
সাক্ষীঃ-
১। বাদি
২। মোঃ কামাল হোসেন (২২)
৩। মোঃ সুজন (৪০)
৪। মোঃ আল আমিন (২৩)
৫। কং/মোঃ মোসলেম উদ্দিন
৬। আনসার/মোঃ মতিউর রহমান
৭। আনসার/মোঃ ওসমান মল্লিক
৮। জনাব, মোঃ আবু হাসান, রাসায়নিক পরীক্ষক
৯। রেকডিং অফিসারঃ-মীর আলিমুজ্জামন, অফিসার ইনচার্জ
১০। তদন্তকারী অফিসারঃ-এস,আই (নিরস্ত্র)খেন্দকার মঞ্জুর রাহী
উপরোক্ত সকল সাক্ষীদের প্রতি সমন ইস্যুর আবেদন করা হল।
No comments:
Post a Comment