থানার সেরেস্তা হতে মামলার এজাহার প্রাপ্ত
হয়ে মামলার ডাইরী পত্তন করে এজাহার পর্যালোচনা করলাম। এজাহারের সংক্ষিপ্ত বিবরণ এই যে,
বাদী, সংগীয় ফোর্স, ধৃত আসামী ১। (76DU2) মোঃ রাসেল (২৪), পিতা- মৃত মনুর উদ্দিন স্থায়ী : মিরবাড়ি, গ্রাম- রুদ্রশ্রী, উপজেলা/থানা- মদন, নেত্রকোনা, বাংলাদেশ বর্তমান : গ্রাম- রায়ের বাজার (সাং-রায়ের বাজার খেলার মাঠের নামায় দিনা চেয়ারম্যানের বাড়ি।) , উপজেলা/থানা- হাজারীবাগ, ঢাকা, বাংলাদেশ এবং তার হেফাজত হতে উদ্ধারকৃত ১। ১০০ (একশত) গ্রাম গাজা যাহা সাদা পলিথিনে রক্ষিত অবস্থায় সহ থানায় এজাহার দায়ের করেন যে, হাজারীবাগ থানার দিবা সিসি নং-৪৮২/১৭ এবং জিডি নং-১০৪৪/১৭ তা-১৬/০৩/১৭
ইং
মূলে এলাকায় ডিউটি করা কালে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১০.১০
ঘটিকায় অত্র থানাধীন রায়েরবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পাকা রাস্তার উপর হতে উক্ত আসামীকে আলোচ্য মাদক গাঁজা সহ হাতেনাতে ধৃত করেন এবং ১০.২৫
ঘটিকায় বাদী জব্দতালিকা মূলে জব্দ করেন। মর্মে বাদীর দায়েরকৃত এজাহারের প্রেক্ষিতে অত্র মামলা রুজু করা হয়
এবং তদন্তভার আমার নামে হাওলা হওয়ায় আমি মামলার তদন্তভার গ্রহন করি।
আসামী গ্রেফতার ও আলামত জব্দ সংক্রান্তে নোট, আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ ও কোর্টে প্রেরণ
এজাহার, জব্দতালিকা ও আলামত পর্যালোচনা করে আলামত নিজ হেফাজতে গ্রহন করিলাম এবং বাদী কর্তৃক ঘটনার সময় হাতে নাতে ধৃত আসামী ১। (76DU2) মোঃ রাসেল (২৪), পিতা- মৃত মনুর উদ্দিন স্থায়ী : মিরবাড়ি, গ্রাম- রুদ্রশ্রী, উপজেলা/থানা- মদন, নেত্রকোনা, বাংলাদেশ বর্তমান : গ্রাম- রায়ের বাজার (সাং-রায়ের বাজার খেলার মাঠের নামায় দিনা চেয়ারম্যানের বাড়ি।) , উপজেলা/থানা- হাজারীবাগ, ঢাকা, বাংলাদেশ অত্র মামলার এজাহার নামীয় আসামী বিধায় তাকে অত্র মামলায় গ্রেপ্তার পূর্বক থানা হাজতে বিধি মোতাবেক আটক রাখিলাম এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার প্রদত্ত তথ্যাদি যাচাই এ তৎপর থাকিয়া পুলিশ প্রহরার মাধ্যমে আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করিলাম।
আলামত ধ্বংসের, নমুনা পরীক্ষার অনুমতির আবেদন
অত্র মামলার জব্দকৃত আলামত ১। সাদা পলিথিনে রক্ষিত ১০০ (একশত) গ্রাম গাঁজা প্রকৃত পক্ষে নেশাজাতীয় কিনা তাহা রাসায়নিক পরীক্ষা পূর্বক নিশ্চিত হওয়ার লক্ষ্যে নমুনা স্বরুপ ০৫(পাচ) গ্রাম গাঁজা রাসায়নিক পরীক্ষার অনুমতি সহ ক্ষমতা প্রদানের এবং নমুনা স্বরুপ ০৫(পাচ) গ্রাম গাঁজা সংরক্ষনের জন্য রাখিয়া অবশিষ্ঠ ৯০ (নব্বই) গ্রাম গাঁজা বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক ধ্বংসের জন্য
বিজ্ঞ আদালতে আবেদন পত্র দাখিল করিলাম।
অত্র
মামলার এজাহার নামীয় গ্রেপ্তারকৃত আসামীর ১।(76DU2) মোঃ রাসেল (২৪), পিতা- মৃত মনুর
উদ্দিন স্থায়ী : মিরবাড়ি, গ্রাম- রুদ্রশ্রী, উপজেলা/থানা- মদন, নেত্রকোনা, বাংলাদেশ
বর্তমান : গ্রাম- রায়ের বাজার (সাং-রায়ের বাজার খেলার মাঠের নামায় দিনা চেয়ারম্যানের
বাড়ি।) , উপজেলা/থানা- হাজারীবাগ, ঢাকা, বাংলাদেশ
নাম-ঠিকানা স্বভাব-চরিত্র যাচাই এর জন্য তাহাদের সংশ্লিষ্ঠ থানা বরাবর অত্র
থানার ই/এস নং-০/১৭ প্রেরণ করা হল।
সংগীয়
ফোর্সসহ ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।
হাজির, ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও নোট
আমি সংগীয় ফোর্স সহ মামলার ঘটনাস্থলে পৌঁছিলাম এবং মামলার বাদীকে পাইয়া তার ও উপস্থিত সাক্ষীদের দেখানো ও সনাক্ত মতে মামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করিতে আরম্ভ করিলাম। ঘটনাস্থল হল-অত্র থানাধীন হাজারীবাগ রায়ের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের গেটের সামনে পূর্ব পশ্চিম দিকগামী পাকা রাস্তার উপর। রাস্তাটি পূর্ব দিক ঝিগাতলা গামী এবং পশ্চিম দিক নিমতলাগামী। ওয়ার্ড নং-১৪, হাজারীবাগ, ঢাকা, বাংলাদেশ, ২ কিমি, উত্তর-পশ্চিম দিক, বিট নং-৩, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন দক্ষিন, হাজারীবাগ পুলিশ ফাঁড়ীর আওতাধীন। যাহার চৌহদ্দি ও সূচীপত্রের বর্ণন নিম্নরুপঃ
চৌহুদ্দিঃ
উত্তরেঃ রায়ের
বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের চার তলা বিশিষ্ট বিল্ডিং এবং শেরে বাংলা রোডের বিস্তৃতি।
দক্ষিনেঃ ৯৯/১ পূর্ব রায়েরবাজারস্থ
চারতলা বিল্ডিং যাহার নিচতলায় যথাক্রমে সোহাগ জুয়েলারী, জোত অপটিকস্ শামন্ত লাইব্রেরি
এন্ড ভারাইটিজ ষ্টোর এবং শেরে বাংলা রোডের বিস্তৃতি।
পূর্বেঃ রাস্তার বিস্তৃতি যাহা পূর্ব দিক ঝিগাতলা গামী।
পশ্চিমেঃ-রাস্তার বিস্তৃতি যাহা নিমতলা গামী।
ঘটনাস্থলের খসড়া মানচিত্র ও সূচীপত্রঃ
ক=ঘটনাস্থল, যাহা রায়ের বাজার
উচ্চ বিদ্যালয়ের গেটের সামনে পূর্ব পশ্চিম দিকগামী পাকা রাস্তার উপর। ঘটনাস্থল বর্ণিত
রাস্তাটি পূর্ব দিক ঝিগাতলা গামী এবং পশ্চিম দিক নিমতলাগামী।
খ= রায়ের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের
মেইন গেট।
গ= রায়ের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের
চার তলা বিশিষ্ট বিল্ডিং।
ঘ=হাই স্কুল মোড় যাহা চৌরাস্তা।
উত্তর দিক মুক্তি সিনেমা হল গামী, দক্ষিনে শেরে বাংলা রোড নামে হাজারীবাগ গামী।
ঙ =ক্যাফে খানা পিনা নামক টিনসেড
খাবার হোটেল।
চ=৯৯/১ পূর্ব রায়েরবাজারস্থ
চারতলা বিল্ডিং যাহার নিচতলায় যথাক্রমে সোহাগ জুয়েলারী, জোত অপটিকস্ শামন্ত লাইব্রেরি
এন্ড ভারাইটিজ ষ্টোর ।
ছ= মোহাম্মাদিয়া
লাইব্রেরি।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ঘটনাস্থলের খসড়া মানচিত্র ও সূচীপত্র পৃথক পৃথক কাগজে তৈরি করে ডকেটে সংযুক্ত রাখলাম।
বাদীকে জিজ্ঞাসাবাদ, আলামত জব্দের চেষ্টা ও নোট
মামলার বাদীকে মামলার ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করিলাম। তিনি এজাহারের অনুরুপ বিবৃতি প্রদান করায় তার জবানবন্দি কাঃ বিঃ ১৬১ ধারা মতে পৃথক কাগজে রেকর্ড করিবার প্রয়োজন মনে করিলাম না।
মামলার ঘটনাস্থল হতে সংশ্লিষ্ট আলামত জব্দের চেষ্টা করিলাম। জব্দ করার মত কোন আলামত পাওয়া গেল না। তবে মামলার বাদী মামলার ঘটনার দিন ও সময় মামলার ঘটনাস্থল হতে আলোচ্য মাদক উদ্ধার মূলে জব্দ করেন। যাহা মামলার মূল আলামত হিসেবে গন্য করিলাম। বিষয়টি নোট রাখিলাম।
জিজ্ঞাসাবাদ, সাক্ষী গ্রহন ও নোট
মামলার ঘটনার বিষয়ে আশে পাশের লোকজনদের গোপন ও প্রকাশ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করিলাম। জব্দতালিকার নিম্নবর্নিত সাক্ষীদের পাইয়া ঘটনা সংক্রান্তে জিজ্ঞাসাবাদ করতঃ তাহাদের জবানবন্দি কাঃ বিঃ ১৬১ ধারামতে পৃথক কাগজে রেকর্ড করিয়া অত্র সাথে সংযুক্ত রাখিলাম।
সাক্ষীদের নাম ও ঠিকানাঃ
১। মোঃ
বেলাল হোসেন পিতা-মোঃ জয়নাল আবেদিন সাং-রামহরি তালুক থানা-সুধারাম জেলা-নোয়াখালী এ/পি-গজমহল
থানা-হাজারীবাগ, ঢাকা (০১৮৩৩৫৮০৩৭৪)
২। মোঃ
স্বপন পিতা-মোঃ হোরণ মিয়া সাং-বারাহিপুর থানা-সুধারাম জেলা-নোয়াখালী এ/পি-গজমহল থানা-হাজারীবাগ,
ঢাকা (০১৬২৩৩৩৯৮৪০)
অদ্য আর কোন সাক্ষীকে পাওয়া গেল না। জিজ্ঞাসাবাদে জোর তৎপর থাকিলাম। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, উক্ত আসামী পেশাদার মাদক বিক্রেতা বলিয়া জানা যায়। সে মামলার ঘটনার দিন ও সময় মামলার ঘটনাস্থল হতে আলোচ্য মাদক সহ বাদী কর্তৃ ক হাতে নাতে ধৃত হয় বলিয়া জানা যায়। মামলার তদন্ত চলিতেছে।
সোর্স নিয়োগ ও মাদক উদ্ধারের চেষ্টা
অত্র মামলার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনের, আসামীর সঠিক নাম ঠিকানা সন্ধান, মামলা সংক্রান্ত্রে আরও মাদকের সন্ধান সংগ্রহ সহ সময় মত আমাকে জানানোর জন্য প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করে এলাকায় আমার বিশ্বস্থ সোর্স নিয়োগ করলাম।
মামলায় নিয়োজিত সোর্সের সহায়তায় অভিযান চালিয়ে আরও মাদক উদ্ধারের ও জড়িতদের নাম-ঠিকানা সন্ধান সংগ্রহের এবং আটকের চেষ্টা করলাম। অদ্য কোন সুফল পাওয়া গেল না। চেষ্টা অব্যাহত আছে।
ডাইরী বন্ধ
পরবর্তী তদন্ত সাপেক্ষ্যে অদ্য তদন্ত মূলতবি রেখে মামলার ডাইরী বন্ধ করলাম।
2 নং
সিডি
ডাইরী পত্তন, সাক্ষী গ্রহন ও নোট
অদ্য থানায় মামলার ডাইরী পত্তন করিলাম এবং মামলার ঘটনার বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শি নিম্নবর্নিত পুলিশ সদস্য সাক্ষীদের পাইয়া ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞসাবাদ করিলাম। তাদের সকলের বক্তব্য একই রকম তথা এজাহার অনুরুপ হওয়ায় শৃধু মাত্র কং/৮৪০৭
মোঃ জসিম উদ্দিন এর জবানবন্দি কাঃ বিঃ ১৬১ ধারামতে রেকর্ড করিয়া ডকেটে সংযুক্ত রাখিলাম। নিম্নবর্নিত সকলকে মামলার সাক্ষী হিসাবে গ্রহন করা হল। তার বিজ্ঞ আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করবেন। বিষয়টি নোট রাখা হল।
সাক্ষীদের নাম ও পদবীঃ
১। এএসআই/
মোঃ শাহজাহান
২। কং/৮৪০৭
মোঃ জসিম উদ্দিন
সর্ব কামরাঙ্গীরচর থানা, ডি এমপি ঢাকা।
সিডি নং-3
আমি সংগীয় ফোর্সসহ মামলার ঘটনাস্থলে পৌঁছিলাম। অত্র মামলার ঘটনার বিষয়ে আশে-পাশের লোকজনদের, এলাকার লোকজন সহ নিরপেক্ষ সাক্ষীদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে মামলার ঘটনা সংক্রান্তে অবগত, কিংবা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সাক্ষীদের জবানবন্দী রেকর্ড করার চেষ্টা করলাম। কিন্তু অদ্য কোন সাক্ষী পাওয়া গেল না। চেষ্টা অব্যাহত আছে।
ডাইরী পত্তন, আদেশনামা প্রাপ্তি, নোট
অদ্য
থানার সেরেস্তার মাধ্যমে অত্র মামলা সংক্রান্ত্রে বিজ্ঞ আদালতের আদেশনামা প্রাপ্ত হলাম।
পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, বিজ্ঞ আদালত মামলার জব্দকৃত আলামত ১০০ গ্রাম গাজাঁ হতে নমুনা
স্বরুপ ০৫ (পাঁচ) গ্রাম গাঁজা রাসায়নিক পরীক্ষার্থে প্রেরণের অনুমতি সহ ক্ষমতাপত্র
প্রদান করেছেন এবং নমুনা স্বরুপ ০৫ (পাঁচ) গ্রাম গাঁজা সংরক্ষনের জন্য রেখে অবশিষ্ট
৯০ (নব্বই) গ্রাম গাঁজা বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক ধ্বংস করা হয়। বিষয়টি নোট করতঃ আদেশনামা
ডকেটে সংযুক্ত রাখা হল।
নমুনা আলামত পরীক্ষার্থে প্রেরণ
অত্র মামলার জব্দকৃত আলামত হতে বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক সীলগালাকৃত নমুনা স্বরুপ ০৫ (পাঁচ) গ্রাম গাজাঁ রাসায়নিক পরীক্ষা পূর্বক মতামত প্রদানের নিমিত্তে চালান মোতাবেক প্রধান রাসায়রিক পরীক্ষক, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ঢাকা বরাবর প্রেরণ করা হল। বিষয়টি নোট রাখলাম।
সিডি-5
সময়ের আবেদন সংক্রান্তে নোট
থানায় মামলার ডাইরী পত্তন
করলাম। মামলাটি তদন্তধীন আছে। মামলার জব্দকৃত আলামত হতে প্রেরিত নমুনা আলামতের রাসায়নিক
পরীক্ষার রিপোর্ট অদ্যবদি পাওয়া যায় নাই। ফলে মামলাটি নিষ্পত্তি করা সম্ভব হইতেছে না।
অপরদিকে মামলার নির্ধারিত তদন্ত সময়সীমা শেষ হওয়ায় মামলাটিতে ০৭ (সাত) কার্যদিবস তদন্ত সময়সীমা বর্ধিত করা একান্ত প্রয়োজন।
বিধায় মামলার সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে মামলাটিতে ০৭ (সাত) কার্যদিবস তদন্ত সময়সীমা বর্ধিত
করার জন্য বিজ্ঞ আদালতে আবেদন করা হয়। বিষয়টি নোট রাখা হল।
আলোচনা ও নোট
অত্র মামলার অদ্যকার তদন্ত
ডায়রী পত্তন করলাম। অত্র মামলার তদন্ত ফলাফল নিয়ে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সহ অফিসার
ইনচার্জ সাহেবের সাথে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা করলাম। তারা মামলার ডকেট পর্যালোচনা করে
আমার তদন্ত ফলাফলের সাথে একমত পোষন করতঃ সন্তোষ প্রকাশ করে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির
পরামর্শ দেন। বিষয়টি নোট রাখলাম এবং মামলাটি নিষ্পত্তিতে তৎপর থাকলাম।
সিডি-6
ডাইরী
পত্তন, রাসায়নিক রিপোর্ট প্রাপ্তি ও নোট
অদ্য থানায় মামলার তদন্ত ডাইরী পত্তন করে থানার সেরেস্তা হতে অত্র মামলা সংক্রান্তে প্রেরতি নমুনা আলামতের রাসায়নিক পরীক্ষার মতামত প্রাপ্ত হয়ে পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, জনাব, মোঃ আবু হাসান, রাসায়নিক পরীক্ষক (ভারপ্রাপ্ত), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, গেন্ডারিয়া, ঢাকা সাহেব নমুনাটি রাসায়নিক পরীক্ষা পূর্বক রিপোর্ট নং-ডি-ঢামে-৪৪৫১/১৭ মূলে মতামত প্রদান করেন যে, ১টি খাকি খামে প্রাপ্ত সবুজাভ বাদামী গুল্ম ‘গাজা”। রাসায়নিক পরীক্ষার মতামত অনুযায়ী প্রাপ্ত উপাদানটি মাদক দ্রব্য হিসেবে বিবেচিত। বিষয়টি নোট করতঃ রাসায়রিক রিপোর্ট ডকেটে সংযুক্ত রাখলাম।
আলোচনা ও অভিযোগ পত্র দাখিল
মামলার ডকেট বিশদভাবে পর্যালোচনা করলাম। তদন্তকালে, সরেজমিনে মামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন সহ খসড়া মানচিত্র, সূচীপত্র অংকন, আলামত জব্দের চেষ্টা করি। বাদি, সাক্ষীদের, আশে পাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সংশ্লিষ্ট সাক্ষীদের জবানবন্দি কাঃ বিঃ ১৬১ ধারামতে পৃথক পৃথক কাগজে রেকর্ড করি। বাদী কর্তৃক ধৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করি। নাম-ঠিকানা যাচাই এর জন্য ই/এস প্রেরণ করি। আবেদনমতে বিজ্ঞ আদালতের অনুমতি সহ ক্ষমতা পত্র মূলে মামলার জব্দকৃত আলামত ১০০ গ্রাম গাজাঁ হতে নমুনা স্বরুপ ০৫ (পাঁচ) গ্রাম
গাঁজা রাসায়নিক পরীক্ষার্থে প্রেরণ করা হয় এবং নমুনা স্বরুপ ০৫ (পাঁচ) গ্রাম গাঁজা সংরক্ষনের
জন্য রেখে অবশিষ্ট ৯০ (নব্বই) গ্রাম গাঁজা বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক ধ্বংস করা হয়। মামলার নির্ধারিত সময় সীমা শেষ হওয়ায় বর্ধিত সময়ের আবেদন করি। মামলা সংক্রান্তে প্রেরতি নমুনা আলামতের রাসায়নিক পরীক্ষার মতামত প্রাপ্ত হয়ে পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, জনাব, মোঃ আবু হাসান, রাসায়নিক পরীক্ষক (ভারপ্রাপ্ত), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, গেন্ডারিয়া, ঢাকা সাহেব নমুনাটি রাসায়নিক পরীক্ষা পূর্বক রিপোর্ট নং-ডি-ঢামে-৪৪৫১/১৭ মূলে মতামত প্রদান করেন যে, ১টি খাকি খামে প্রাপ্ত সবুজাভ বাদামী গুল্ম ‘গাজা”। রাসায়নিক পরীক্ষার মতামত অনুযায়ী প্রাপ্ত উপাদানটি মাদক দ্রব্য হিসেবে বিবেচিত।
মামলার সার্বিক তদন্তে, প্রাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমানে, ঘটনার পারি পাশ্বিকতায়, জব্দকৃত আলামত দৃষ্টে ও নমুনা আলামতের রাসায়নিক পরীক্ষার মতামত অনুযায়ী অত্র মামলার এজাহার নামীয় গ্রেপ্তারকৃত আসামী একজন পেশাদার মাদক বিক্রেতা হিসাবে এলাকায় পরিচিত। সে অত্র মামলার ঘটনার তারিখ ও সময়ে মামলার ঘটনাস্থল হতে আলোচ্য মাদক সহ বাদী কর্তৃক হাতে নাতে ধৃত হয় বলে তদন্তে সত্যতা প্রকাশ পায়। যাহা অত্র মামলার এজাহার নামীয় গ্রেপ্তারকৃত আসামী ১। (76DU2) মোঃ রাসেল (২৪), পিতা- মৃত মনুর উদ্দিন স্থায়ী : মিরবাড়ি, গ্রাম- রুদ্রশ্রী, উপজেলা/থানা- মদন, নেত্রকোনা, বাংলাদেশ বর্তমান : গ্রাম- রায়ের বাজার (সাং-রায়ের বাজার খেলার মাঠের নামায় দিনা চেয়ারম্যানের বাড়ি।) , উপজেলা/থানা- হাজারীবাগ, ঢাকা, বাংলাদেশ এর বিরুদ্ধে ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) টেবিলের এর ৭(ক) ধারামতে অভিযোগ সত্য বলে প্রমানিত হওয়ায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মামলার ফলাফল অবহিত করলে তারা মামলার ডকেট পর্যালোচনা করে আমার তদন্ত ফলাফল ও মতামতের সহিত একমত পোষন করতঃ মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির পরামর্শ প্রদান করেন। বিধায় বিলম্ব না করে বিচারের নিমিত্তে অত্র থানার অভিযোগ পত্র নং-১০২ তারিখ-৩০/০৪/২০১৭ ধারা- ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) টেবিলের এর ৭(ক) দাখিল করিলাম। বাদীকে ফলাফল জানানো হল। সাক্ষীগন বিজ্ঞ আদালতে ঘটনার সত্যতা প্রমাণ করবেন। আসামী সংক্রান্তে
প্রেরিত ই/এস মূলতবি আছে। জবাব পাওয়া মাত্র বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হবে।
অভিযোগ পত্রে এজাহার নামীয় অভিযুক্ত আসামীঃ
১। (76DU2) মোঃ রাসেল (২৪), পিতা- মৃত মনুর উদ্দিন স্থায়ী : মিরবাড়ি, গ্রাম- রুদ্রশ্রী, উপজেলা/থানা- মদন, নেত্রকোনা, বাংলাদেশ বর্তমান : গ্রাম- রায়ের বাজার (সাং-রায়ের বাজার খেলার মাঠের নামায় দিনা চেয়ারম্যানের বাড়ি।) , উপজেলা/থানা- হাজারীবাগ, ঢাকা, বাংলাদেশ
উক্ত আসামীকে গ্রেপ্তার পূর্বক গত ১৬/০৩/১৭ তারিখ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।
আলামত
১।
সাদা কাগজে রক্ষিত ১০০ গ্রাম গাজাঁ।
উক্ত আলামত হতে বিজ্ঞ আদালতের অনুমতিসহ ক্ষমতা পত্র মূলে
নমুনা স্বরুপ ০৫ (পাঁচ) গ্রাম গাঁজা প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষক, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ঢাকা কর্তৃক রাসায়নিক পরীক্ষা পূর্বক মতামত সংগ্রহ করা হয় এবং ৯০
(নব্বই) গ্রাম গাঁজা বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক ধ্বংস করা হয়।
অবশিষ্ঠ নমুনা স্বরুপ সংরক্ষিত ও বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক সীলগালাকৃত ০৫ (পাঁচ) গ্রাম গাঁজা বিচারের নিমিত্তে চালান মোতাবেক অভিযোগ পত্রের সহিত বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হল।
No comments:
Post a Comment