ডাইরী পত্তন, রাসায়নিক রিপোর্ট প্রাপ্তি ও নোট
অদ্য থানায় মামলার তদন্ত ডাইরী পত্তন করে থানার সেরেস্তা হতে অত্র মামলা সংক্রান্তে প্রেরতি নমুনা আলামতের রাসায়নিক পরীক্ষার মতামত প্রাপ্ত হয়ে পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, জনাব, মোঃ আবু হাসান, রাসায়নিক পরীক্ষক (ভারপ্রাপ্ত), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, গেন্ডারিয়া, ঢাকা সাহেব নমুনাটি রাসায়নিক পরীক্ষা পূর্বক রিপোর্ট নং-ডি-ঢামে-৩২৬২/১৭ মূলে মতামত প্রদান করেন যে, ১টি খাকি খামে প্রাপ্ত ২টি ০.১৯৯ গ্রাম লালচে ট্যাবলেটে “মিথাইল অ্যাম্ফিটামিন” পাওয়া গিয়াছে”। রাসায়নিক পরীক্ষার মতামত অনুযায়ী প্রাপ্ত উপাদানটি মাদক দ্রব্য হিসেবে বিবেচিত। বিষয়টি নোট করতঃ রাসায়রিক রিপোর্ট ডকেটে সংযুক্ত রাখলাম।
আলোচনা ও অভিযোগ পত্র দাখিল
আলোচনা ও অভিযোগ পত্র দাখিল
মামলার ডকেট বিশদভাবে পর্যালোচনা করলাম। তদন্তকালে, সরেজমিনে মামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন সহ খসড়া মানচিত্র, সূচীপত্র অংকন, আলামত জব্দের চেষ্টা করি। বাদি, সাক্ষীদের, আশে পাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সংশ্লিষ্ট সাক্ষীদের জবানবন্দি কাঃ বিঃ ১৬১ ধারামতে পৃথক পৃথক কাগজে রেকর্ড করি। বাদী কর্তৃক ধৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করি। নাম-ঠিকানা যাচাই এর জন্য ই/এস প্রেরণ করি। আবেদনমতে আলামত হতে বিজ্ঞ আদালতের অনুমতি সহ ক্ষমতা পত্র মূলে নমুনা স্বরুপ ০২ (দুই) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়, নমুনা স্বরুপ ০২(দুই) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সংরক্ষনের জন্য রাখিয়া ৫৮ (আটান্ন) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক ধ্বংস করা হয়। মামলার নির্ধারিত সময় সীমা শেষ হওয়ায় বর্ধিত সময়ের আবেদন করি। মামলা সংক্রান্তে প্রেরতি নমুনা আলামতের রাসায়নিক পরীক্ষার মতামত প্রাপ্ত হয়ে পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, জনাব, মোঃ আবু হাসান, রাসায়নিক পরীক্ষক (ভারপ্রাপ্ত), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, গেন্ডারিয়া, ঢাকা সাহেব নমুনাটি রাসায়নিক পরীক্ষা পূর্বক রিপোর্ট নং-ডি-ঢামে-৩৯১৯/১৭ মূলে মতামত প্রদান করেন যে, ১টি খাকি খামে প্রাপ্ত ২টি ০.১৯৯ গ্রাম লালচে ট্যাবলেটে “মিথাইল অ্যাম্ফিটামিন” পাওয়া গিয়াছে”। রাসায়নিক পরীক্ষার মতামত অনুযায়ী প্রাপ্ত উপাদানটি মাদক দ্রব্য হিসেবে বিবেচিত।
মামলার সার্বিক তদন্তে, প্রাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমানে, ঘটনার পারি পাশ্বিকতায়, জব্দকৃত আলামত দৃষ্টে ও নমুনা আলামতের রাসায়নিক পরীক্ষার মতামত অনুযায়ী অত্র মামলার এজাহার নামীয় গ্রেপ্তারকৃত আসামী একজন পেশাদার মাদক বিক্রেতা হিসাবে এলাকায় পরিচিত। সে অত্র মামলার ঘটনার তারিখ ও সময়ে মামলার ঘটনাস্থল হতে আলোচ্য মাদক সহ বাদী কর্তৃক হাতে নাতে ধৃত হয় বলে তদন্তে সত্যতা প্রকাশ পায়। যাহা অত্র মামলার এজাহার নামীয় গ্রেপ্তারকৃত আসামী ১। (4PNTL) মোঃ মানিক (২৮), পিতা- মৃত আঃ খালেক, মাতা- মোসাঃ পারুল বেগম স্থায়ী : গ্রাম- কাজলপুর, উপজেলা/থানা- শ্রীনগর, মুন্সিগঞ্জ, বাংলাদেশ বর্তমান : গ্রাম- ঝাউচর (ফকরুদ্দিন এর বাড়ির ভাড়াটিয়া) , উপজেলা/থানা- হাজারীবাগ, ঢাকা, বাংলাদেশ এর বিরুদ্ধে ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) টেবিলের এর ৯(খ) ধারামতে অভিযোগ সত্য বলে প্রমানিত হওয়ায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মামলার ফলাফল অবহিত করলে তারা মামলার ডকেট পর্যালোচনা করে আমার তদন্ত ফলাফল ও মতামতের সহিত একমত পোষন করতঃ মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির পরামর্শ প্রদান করেন। বিধায় বিলম্ব না করে বিচারের নিমিত্তে অত্র থানার অভিযোগ পত্র নং-০ তারিখ-১২/০৪/২০১৭ ধারা- ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) টেবিলের এর ৯(ক) দাখিল করিলাম। বাদীকে ফলাফল জানানো হল। সাক্ষীগন বিজ্ঞ আদালতে ঘটনার সত্যতা প্রমাণ করবেন।
অভিযোগ পত্রে এজাহার নামীয় অভিযুক্ত আসামীঃ
১। (77BRX) মোঃ নাজির আহম্মেদ রকি (৩০), পিতা- মোঃ জালাল উদ্দিন স্থায়ী : গ্রাম- ঝাউচর (১১ নং ঝাউচর গুদারাঘাট) , উপজেলা/থানা- হাজারীবাগ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
উক্ত আসামীকে গ্রেপ্তার পূর্বক গত ০৭/০৩/১৭ তারিখ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।
আলামত
১। ১০ (দশ) পিছ কথিত নেশা জাতীয় লালচে রংয়ের ইয়াবা ট্যাবলেট ওজন অনুমান ০১ (এক) গ্রাম সাদা সিগারেটের কাগজ দিয়ে মোড়া পলিথিনে পেচানো মূল্য অনুমান ৩,০০০/=
উক্ত আলামত হতে বিজ্ঞ আদালতের অনুমতিসহ ক্ষমতা পত্র মূলে নমুনা স্বরুপ ০২ (দুই) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষক, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ঢাকা কর্তৃক রাসায়নিক পরীক্ষা পূর্বক মতামত সংগ্রহ করা হয় এবং ৫৮ (আটান্ন) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট রাসায়নিক বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক ধ্বংস করা হয়।
অবশিষ্ঠ নমুনা স্বরুপ সংরক্ষিত ও বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক সীলগালাকৃত ০২ (দুই) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট বিচারের নিমিত্তে চালান মোতাবেক অভিযোগ পত্রের সহিত বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হল।
No comments:
Post a Comment