এজাহারের সংক্ষিপ্ত বিবরণ এই যে, বাদী সংগীয় ফোর্স, ধৃত আসামী ১। (77BRX) মোঃ নাজির আহম্মেদ রকি (৩০), পিতা- মোঃ জালাল উদ্দিন স্থায়ী : গ্রাম- ঝাউচর (১১ নং ঝাউচর গুদারাঘাট) , উপজেলা/থানা- হাজারীবাগ, ঢাকা, বাংলাদেশ এবং তার হেফাজত হতে উদ্ধারকৃত ১। ১০ (দশ) পিছ কথিত নেশা জাতীয় লালচে রংয়ের ইয়াবা ট্যাবলেট ওজন অনুমান ০১ (এক) গ্রাম সাদা সিগারেটের কাগজ দিয়ে মোড়া পলিথিনে পেচানো মূল্য অনুমান ৩,০০০/= সহ থানায় এজাহার দায়ের করেন যে, হাজারীবাগ থানার নৈশ সিসি নং-৩৭৭/১৭ এবং জিডি নং-৩৮৬ তা-০৬/০৩/১৭ ইং মূলে এলাকায় ডিউটি করা কালে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ০৬.১৫ ঘটিকায় অত্র থানাধীন বেরিবাধস্থ আর, এস সিএনজি পাম্প সামনে পাকা রাস্তার উপর চেকপোষ্ট করা কালীন উক্ত আসামীকে আলোচ্য ইয়াবা ট্যাবলেট সহ হাতেনাতে ধৃত করেন এবং ০৬.৫০ ঘটিকায় বাদী জব্দতালিকা মূলে জব্দ করেন। মর্মে বাদীর দায়েরকৃত এজাহারের প্রেক্ষিতে অত্র মামলা রুজু করা হয় এবং তদন্তভার আমার নামে হাওলা হওয়ায় আমি মামলার তদন্তভার গ্রহন করি।
তদন্তকালে, সরেজমিনে মামলার ঘটনাস্থল
পরিদর্শন সহ খসড়া মানচিত্র, সূচীপত্র অংকন, আলামত জব্দের চেষ্টা করি। বাদি, সাক্ষীদের,
আশে পাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সংশ্লিষ্ট সাক্ষীদের জবানবন্দি কাঃ বিঃ ১৬১ ধারামতে পৃথক পৃথক কাগজে রেকর্ড করি। বাদী কর্তৃক ধৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ
করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করি। নাম-ঠিকানা যাচাই করি। আবেদনমতে আলামত হতে বিজ্ঞ আদালতের
অনুমতি সহ ক্ষমতা পত্র মূলে নমুনা স্বরুপ ০৪ (চার) পুরিয়া গাঁজা রাসায়নিক পরীক্ষার
জন্য প্রেরণ করা হয়, নমুনা স্বরুপ ০৪ (চার) পুরিয়া গাঁজা সংরক্ষনের জন্য রাখিয়া ৫৪ (চুয়ান্ন) পুরিয়া গাঁজা বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক ধ্বংস করা হয়। মামলার নির্ধারিত সময় সীমা শেষ হওয়ায় বর্ধিত সময়ের আবেদন করি। মামলা সংক্রান্তে প্রেরতি
নমুনা আলামতের রাসায়নিক পরীক্ষার মতামত প্রাপ্ত হয়ে পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, জনাব,
মোঃ আবু হাসান, রাসায়নিক পরীক্ষক (ভারপ্রাপ্ত), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, গেন্ডারিয়া,
ঢাকা সাহেব নমুনাটি রাসায়নিক পরীক্ষা পূর্বক রিপোর্ট নং-ডি-ঢামে-৩৫৪৩/১৭ মূলে মতামত
প্রদান করেন যে, ১টি খাকি খামে প্রাপ্ত বাদামী গুল্ম “গাঁজা”।
রাসায়নিক পরীক্ষার মতামত অনুযায়ী প্রাপ্ত উপাদানটি মাদক দ্রব্য হিসেবে বিবেচিত।
মামলার সার্বিক তদন্তে, প্রাপ্ত
সাক্ষ্য-প্রমানে, ঘটনার পারি পাশ্বিকতায়, জব্দকৃত আলামত দৃষ্টে ও নমুনা আলামতের রাসায়নিক
পরীক্ষার মতামত অনুযায়ী অত্র মামলার এজাহার নামীয় গ্রেপ্তারকৃত আসামী ১। (77CY3) মোঃ সুজন (), পিতা- মোঃ হারুন স্থায়ী : গ্রাম- উত্তর পাড়া, উপজেলা/থানা- আগৈলঝারা, বরিশাল, বাংলাদেশ বর্তমান : গ্রাম- বউ বাজার (বউ বাজার শহীদ ম্যানেজার এর বাড়ির ভাড়াটিয়া।) , উপজেলা/থানা- হাজারীবাগ, ঢাকা, বাংলাদেশ একজন পেশাদার
মাদক বিক্রেতা হিসাবে এলাকায় পরিচিত। সে অত্র মামলার ঘটনার তারিখ ও সময়ে মামলার ঘটনাস্থল
হতে আলোচ্য মাদক সহ বাদী কর্তৃক হাতে নাতে ধৃত হয় বলে তদন্তে সত্যতা প্রকাশ
পায়। যাহা অত্র মামলার এজাহার নামীয় গ্রেপ্তারকৃত আসামী ১। (77CY3) মোঃ সুজন (), পিতা- মোঃ হারুন স্থায়ী : গ্রাম- উত্তর পাড়া, উপজেলা/থানা- আগৈলঝারা, বরিশাল, বাংলাদেশ বর্তমান : গ্রাম- বউ বাজার (বউ বাজার শহীদ ম্যানেজার এর বাড়ির ভাড়াটিয়া।) , উপজেলা/থানা- হাজারীবাগ, ঢাকা, বাংলাদেশ এর বিরুদ্ধে ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য
নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) টেবিলের এর ৭(ক) ধারামতে অভিযোগ সত্য বলে প্রমানিত হওয়ায় আমার মতামত ও তদন্ত ফলাফল ব্যক্ত করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে
মামলার ফলাফল অবহিত করলে তারা মামলার ডকেট পর্যালোচনা করে আমার তদন্ত ফলাফল ও মতামতের সহিত একমত পোষন করতঃ মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির পরামর্শ প্রদান করেন। বিধায় বিলম্ব না করে বিচারের
নিমিত্তে অত্র থানার অভিযোগ পত্র নং-০ তারিখ-২০/০৪/২০১৭ ধারা- ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য
নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) টেবিলের এর ৭(ক) দাখিল করিলাম। বাদীকে ফলাফল
জানানো হল। সাক্ষীগন বিজ্ঞ আদালতে ঘটনার সত্যতা প্রমাণ করবেন।
No comments:
Post a Comment