অদ্য থানার সেরেস্তার মাধ্যমে মামলার এহাজার প্রাপ্ত হয়ে পর্যালোচনা করলাম। দেখা যায় যে, মামলার বাদি (78LMH) এস এম রহমান (৫৪), পিতা- এস এম লস্কর আলী স্থায়ী : গ্রাম- সেন্ট্রালরোড (বাসা নং- ৮২, ফ্ল্যাট নং- ১০১) , উপজেলা/থানা- কলাবাগান, ঢাকা, বাংলাদেশ থানায় কম্পিউটারকৃত এজাহার দায়েরের মাধ্যমে জানান যে, তার মেয়ে আয়শা রহমান (১৪) ধানমন্ডি সিদ্দিকস্ ইন্টারন্যাশনালস স্কুলে ৮ম শ্রেণীতে পড়াশুনা করে। গত ০৩/০৪/১৭ তারিখ ১৮.৪৫ টার দিকে বাদির মেয়ে/ভিকটিম আয়শা রহমান (১৪) ব্যক্তিগত প্রয়োজনে বাসার নিচে যায়। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও সে বাসায় ফিরে না আসায় বাদি বিভিন্ন স্থানে খোজ করে জানতে পারেন গত ০৩/০৪/১৭ তারিখ ১৮.৫০ টার দিকে ভিকটিম বাসা হতে নিচে নামা মাত্রই পূর্ব হতে ওৎ পেতে থাকা বিবাদী ১। (78LMP) সাগর শৈকত (১৯), পিতা- মোঃ দেলোয়ার হোসেন স্থায়ী : গ্রাম- কাওড়াকান্দি (পশ্চিম কাকড়) , উপজেলা/থানা- শিবচর, মাদারীপুর, বাংলাদেশ বর্তমান : গ্রাম- মধুবাজার (বাসা নং- ২২২/১১ পশ্চিম ধানমন্ডি মসজিদ সংলগ্ন) , উপজেলা/থানা- হাজারীবাগ, ঢাকা, বাংলাদেশ সহ অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জন ভিকটিমকে ফুসলাইয়া একটি সিএনজিতে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। ভিকটিম স্কুলে আসা যাওয়ার পথে উক্ত আসামী সাগর ওরয়ে শৈকত প্রায়ই উত্যক্ত করত। বিষয়টি বিভিন্ন সময় ভিকটিম বাদিকে অবগত করত। উক্ত আসামীর সহিত বাদির যোগাযোগ সে ভিকটিম কে ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিলেও অদ্যবদি ভিকটিমকে ফেরৎ দেয় নাই। মর্মে বাদির দায়েরকৃত এজাহারের প্রেক্ষিতে অফিসার ইনচার্জ সাহেব মামলা রেকর্ড করেন এবং পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সাহেবের হাওলা মতে আমি মামলার তদন্ত ভার গ্রহন করি।
ভিকটিম আয়শা রহমান (১৪) আদৌ আসামী কর্তৃক ধর্ষিতা হয়েছে কিনা তাহা এবং প্রকৃত বয়স নির্ণয়ের জন্য ডাক্তারী পরীক্ষা করানো একান্ত প্রয়োজন। বিধায় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বিভাগীয় প্রধান, ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা বরাবর বিধি মোতাবেক পুলিশী প্রহরায় প্রেরণ করা হল।
ভিকটিম ডাক্তারী পরীক্ষা করাতে অনীহা ও অনিচ্ছা প্রকাশ করায় কর্তব্যরত ডাক্তার মোছাঃ নিলুফার ইয়াসমিন, কোড নং-১১২৪৪৫, সহকারী সার্জন, মাইজচর ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র, বাজিতপুর কিশোরগঞ্জ, প্রভাষক, (সংযুক্ত) ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা ভিকটিমের অসম্মতিপত্র প্রদান করেন। বিষয়টি নোট করতঃ ডকেটে সংযুক্ত রাখা হল।
অত্র মামলার ভিকটিম আয়শা রহমান (১৪) স্বেচ্ছায় তার স্বীকারোক্তি মূলক বিবৃতি বিজ্ঞ আদালতে প্রদান করতে ইচ্ছুক। বিধায় তার স্বীকারোক্তি মূলক বিবৃতি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন/২০০০ (সংশোধনী/২০০৩) এর ২২ ধারামতে বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক লিপিবদ্ধ করার আবেদনসহ পুলিশী প্রহরায় তার পিতা-মাতার মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হল। বিধি মোতাবেক বিজ্ঞ আদালত ভিকটিমের স্বীকারোক্তি মূলক বিবৃতি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন/২০০০ (সংশোধনী/২০০৩) এর ২২ ধারামতে লিপিবদ্ধ করেন। বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক লিপিবদ্ধকৃত জবানবন্দির ফটোকপি প্রাপ্ত হয়ে পর্যালোচনা করে ডকেটে সংযুক্ত রাখা হল।
আমি সংগীয় ফোর্স মামলার বাদি সহ মামলার ঘটনাস্থলে হাজির হলাম এবং বাদি ও উপস্থিত সাক্ষীদের দেখানো ও সনাক্ত মতে মামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে আরম্ভ করলাম। ঘটনাস্থল হল-অত্র কলাবাগান থানাধীন ৮২ নং সেন্ট্রাল রোডস্থ ৯ তলা ভবনের নিচে উত্তর-দক্ষিন দিকগামী সেন্ট্রাল রোড নামক রাস্তা। ওয়ার্ড নং-১৬, বিট নং-৫, থানা হতে ১ কিঃমিঃ দক্ষিন দিকে। ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন। ঘটনাস্থলের চৌহদ্দি ও সূচীপত্রের বর্ণনা নিম্নরুপঃ
চৌহদ্দিঃ
উত্তরে- সেন্ট্রাল রোডের বিস্তৃতি যাহা হাতিরপুলগামী, পরে ৮৪/২ নং সেন্ট্রাল রোডস্থ সামস নামক ৫ম তলা বিল্ডিং পাশে বিভিন্ন বিল্ডিং।
দক্ষিনে-সেন্ট্রাল রোডের বিস্তৃতি যাহা গ্রীণরোড গামী, পরে ৭৭ নং সেন্ট্রাল রোডস্থ ৬ষ্ঠ তলা বিল্ডিং পাশে বিভিন্ন বিল্ডিং।
পূর্বে-২৮ নং সেন্ট্রাল রোডস্থ ৬ষ্ঠ তলা বিল্ডিং যাহা নিউমার্কেট থানাধীন। পরে অন্যান্য বাড়ি।
পশ্চিমে-ঘটনাস্থল বর্নিত সেন্ট্রাল রোডস্থ ৮২ নং ৯ তলা ভবন পরে ৮১ নং সেন্ট্রাল রোডস্থ ৬ষ্ঠ তলা বিল্ডিং।
ঘটনাস্থলের খসড়া মানচিত্রের সূচীপত্রের বর্ননাঃ-
ঘটনাস্থলের খসড়া মানচিত্রের সূচীপত্রের বর্ননাঃ-
ক=ঘটনাস্থল, যাহা অত্র কলাবাগান থানাধীন সেন্ট্রাল রোডস্থ ৮২ নং বাসার নিচে উত্তর-দক্ষিন দিকগামী সেন্ট্রাল রোড নামক রাস্তা।
খ=সেন্ট্রাল রোডস্থ ৮২ নং বাসার মেইন গেট।
গ=ঘটনাস্থল বর্নিত সেন্ট্রাল রোডস্থ ৮২ নং ৯ তলা ভবন।
ঘ=৮৪/২ নং সেন্ট্রাল রোডস্থ সামস নামক ৫ম তলা বিল্ডিং যাহা ঘটনাস্থলের উত্তর পাশে অবস্থিত।
ঙ=৮৩ নং সেন্ট্রাল রোডস্থ ৬ষ্ঠ তলা বিল্ডিং।
চ=৮১ নং সেন্ট্রাল রোডস্থ ৬ষ্ঠ তলা বিল্ডিং।
ছ= ঘটনাস্থলের দক্ষিন পাশে ৭৭ নং সেন্ট্রাল রোডস্থ ৬ষ্ঠ তলা বিল্ডিং।
জ=১৯ নং সেন্ট্রাল রোডস্থ ৮ম তলা বিল্ডিং।
ঝ=২৮ নং সেন্ট্রাল রোডস্থ ৬ষ্ঠ তলা বিল্ডিং।
ঞ=১৩ নং সেন্ট্রাল রোডস্থ ৩(তিন) তলা বিল্ডিং
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ঘটনাস্থলের খসড়া ও সূচীপত্র পৃথক পৃথক কাগজে তৈরি করে ডকেটে সংযুক্ত রাখলাম।
ভিকটিম আয়শা রহমান (১৪) আদৌ আসামী কর্তৃক ধর্ষিতা হয়েছে কিনা তাহা এবং প্রকৃত বয়স নির্ণয়ের জন্য ডাক্তারী পরীক্ষা করানো একান্ত প্রয়োজন। বিধায় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বিভাগীয় প্রধান, ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা বরাবর বিধি মোতাবেক পুলিশী প্রহরায় প্রেরণ করা হল।
ভিকটিম ডাক্তারী পরীক্ষা করাতে অনীহা ও অনিচ্ছা প্রকাশ করায় কর্তব্যরত ডাক্তার মোছাঃ নিলুফার ইয়াসমিন, কোড নং-১১২৪৪৫, সহকারী সার্জন, মাইজচর ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র, বাজিতপুর কিশোরগঞ্জ, প্রভাষক, (সংযুক্ত) ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা ভিকটিমের অসম্মতিপত্র প্রদান করেন। বিষয়টি নোট করতঃ ডকেটে সংযুক্ত রাখা হল।
অত্র মামলার ভিকটিম আয়শা রহমান (১৪) স্বেচ্ছায় তার স্বীকারোক্তি মূলক বিবৃতি বিজ্ঞ আদালতে প্রদান করতে ইচ্ছুক। বিধায় তার স্বীকারোক্তি মূলক বিবৃতি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন/২০০০ (সংশোধনী/২০০৩) এর ২২ ধারামতে বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক লিপিবদ্ধ করার আবেদনসহ পুলিশী প্রহরায় তার পিতা-মাতার মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হল। বিধি মোতাবেক বিজ্ঞ আদালত ভিকটিমের স্বীকারোক্তি মূলক বিবৃতি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন/২০০০ (সংশোধনী/২০০৩) এর ২২ ধারামতে লিপিবদ্ধ করেন। বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক লিপিবদ্ধকৃত জবানবন্দির ফটোকপি প্রাপ্ত হয়ে পর্যালোচনা করে ডকেটে সংযুক্ত রাখা হল।
No comments:
Post a Comment