কাঃবিঃ ১৭৩ ধারামতে ১৭৩ ধারা মতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন সত্য - SaraBela News

Breaking

SaraBela News

It's a site of SS Connections.

4G-1010-X-90
English বাংলা

Post Top Ad

4G-1010-X-90

Post Top Ad

Thursday, April 13, 2017

কাঃবিঃ ১৭৩ ধারামতে ১৭৩ ধারা মতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন সত্য

এজাহারের সংক্ষিপ্ত বিবরণ এই যে, অত্র মামলার বাদী (4RL1V) শেখ মসফিকর রহমান দীপ (৩০), পিতা- শেখ শফিউর রহমান   স্থায়ী : ষ্টেডিয়াম পাড়া।,  (অঙ্গাত) ,  উপজেলা/থানা- কোতয়ালী, যশোর, বাংলাদেশ  বর্তমান :  গ্রাম- টালি অফিস (১/৬ টালি অফিস মোড়,প্রধান মঞ্জিল ৩য় তলা।) ,  উপজেলা/থানা- হাজারীবাগ, ঢাকা, বাংলাদেশ থানায় কম্পিউটারকৃত এজাহারের মাধ্যমে অভিযোগ করেন যে, গত ইং ১২/১২/২০১৬ তারিখ সকাল অনুমান ০৭.০০ ঘটিকার সময় বাদী ভূল বশতঃ তার বর্তমান বাসার দরজার ছিটকানী না লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। সকাল অনুমান ০৭.৪৫ টার দিকে ঘুম থেকে জেগে দেখতে পান তার বাসার দরজা খোলা এবং বাসার টেবিলের উপর রক্ষিত ১। DELL LAPTOP ডেল ল্যাপটপ, যাহার মডেল নং- INS 15 মূল্য অনুমান ৪০,০০০/= টাকা ২।   HTC MOBILE ১টি যাহার আইএমইআই নং-35280450387744 মূল্য অনুমান ২০,০০০/= টাকা, ৩। মানিব্যাগ ১টি যার মধ্যে নগদ ২,৫,০০/= টাকা, ১টি ড্রাইভিং লাইসেন্স, যার নং- JS0012459CL0001 ও ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের একটি ডেভিটকার্ড যার একাউন্ট নং-১৪৭১০৩৩৫০৬৫৩ ও একটি জাতীয় পরিচয় পত্র যার আইডি নং-৪১২৪৭০৫০৬৪২৯৯ সর্বমোট ৬২,৫০০/= টাকার মালামাল যথাস্থানে নাই। সকাল অনুমান ০৭.০০ ঘটিকার সময় হতে সকাল অনুমান ০৭.৪ ঘটিকার সময়ের মধ্যে যে কোন সময় অজ্ঞাতনামা চোর বা চোরেরা উক্ত মালামাল গুলি চুরি করে নিয়ে গেছে। মর্মে বাদী বর্ণিত বিষয়ে থানায় এজাহার দায়ের করিলে অত্র মামলা রুজু হয়। পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সাহেবের হাওলামতে আমি মামলার তদন্তভার গ্রহণ করি।
<br>তদন্ত কালে, আমি সরেজমিনে মামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন সহ ঘটনাস্থলের খসড়া মানচিত্র ও সূচীপত্র পৃথক কাগজে তৈরি করি। আলামত জব্দের চেষ্টা করি। বাদী, সাক্ষীদের, আশে-পাশের লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করতঃ সাক্ষীদের জবানবন্দি কাঃ বিঃ ১৬১ ধারামতে রেকর্ড  করি। থানার রেকর্ড পত্র পর্যালোচনা করে এলাকার নামকরা চোরদের সংক্রান্তে প্রাপ্ত ও সংগ্রহকৃত তথ্যাদি যাচাই করি। মামলায় বিশ্বস্থ সোর্স  নিয়োগ পূর্বক প্রকৃত চোর/চোরদের নাম-ঠিকানা, সন্ধান সংগ্রহের, গ্রেপ্তারের এবং চোরাই মাল উদ্ধারের সর্বাত্মক চেষ্টা করি। ঘটনার সহিত জড়িত সন্দেহে সন্দিগ্ধ গ্রেওপ্তারকৃত আসামী ১। শরিফ (২০) ২। মোঃ সফু ওরফে হাসু (৪০) ৩। মোঃ আবুল হোসেন (৩০) গনদের গ্রেপ্তার পূর্বক ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে কোর্টে  প্রেরণ করি। আসামীদের নাম-ঠিকানা যাচাই করি। চোরাই যাওয়া মোবাইলের সিডিআর এর জন্য আবেদন করি। এলাকার কম্পিউটারের দোকান গুলিতে অভিযান পরিচালানা করে চোরাই মাল উদ্ধারের এবং প্রকৃত চোর/চোরেদের নাম-ঠিকানা, সন্ধান সংগ্রহের ও গ্রেফতারের চেষ্টা করি। ডিবি অফিসে অনুসন্ধান করে প্রকৃত আসামীদের নাম-ঠিকানা, সন্ধান সংগ্রহের চেষ্টা করি। মামলার তদন্তের যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহন করি।
 </br>
মামালাটি স্থানীয়ভাবে গোপন ও প্রকাশ্যে ব্যাপক ভাবে তদন্ত করি। তদন্তকালে,প্রাপ্ত সাক্ষ্য প্রমানে ,ঘটনার পারি-পার্শ্বিকতায় মামলার ঘটনার সত্যতা প্রকাশ পাইলেও কাহারও বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগ প্রমানের মত কোন সাক্ষ্য-প্রমানাদি পাওয়া যায় নাই। অজ্ঞাতনামা আসামীদের নাম-ঠিকানা পাওয়া যায় নাই। তাছাড়া মামলায় সন্দিগ্ধ গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধেও মামলার অভিযোগ প্রমানের মত কোন সাক্ষ্য-প্রমানাদি পাওয়া যায় নাই। অদুর ভবিষ্যতেও মামলার সুফল পাওয়ার কোন আশুসম্ভাবনা পরিলক্ষিত হইতেছে না।তাছাড়া মামলার বাদীও কোন সাক্ষ্য-প্রমানাদি হাজির করতে পারেন নাই বরং তার কথাবার্তায় চাল-চলনে  মামলা চালানোর প্রতি তার অনীহাভাব পরিলক্ষিত হয়। সুতরাং অহেতুক মামলাটি মূলতবী না রাখিয়া মামলার সন্দিগ্ধ গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় অত্র চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ৩ নং কলামে বর্নিত সকল সন্দিগ্ধ আসামী কে আপাততঃ মামলার দায় হইতে অব্যহতি প্রদানের নিমিত্তে তদন্ত ফলাফল ব্যক্ত করিয়া উদ্ধত্তন কর্তৃপক্ষের সহিত আলোচনা করি। তাহারা একমত পোষন করায় অহেতুক মামলাটি মুলতবী না রাখিয়া অত্র চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ৩ নং কলামে বর্নিত সকল সন্দিগ্ধ আসামী কে আপাততঃ মামলার দায় হইতে অব্যহতি প্রদানের আবেদন সহ আপাততঃ অত্র থানার চূড়ান্ত রিপোর্ট সত্য নং-১২ তাং-৩১/০৩/১৭   ইং ধারা-৪৫৪/৩৮০ পেনাল কোড দাখিল করলাম। বাদীকে মামলার ফলাফল জানানো হল। ভবিষ্যতে চোরাই মালের সন্ধান সংগ্রহ,কিংবা উদ্ধার এবং প্রকৃত আসামীদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ কিংবা গ্রেপ্তার হইলে মামলাটি পূনঃজ্জীবিত করিয়া প্রয়োজনীয ব্যবস্থা গ্রহন করা হইবে।
সন্দেহের কারন সমূহঃ ক) তারা এলাকায় চোর হিসাবে পরিচিত। খ) মামলার ঘটনার দিন ও সময় ঘটনাস্থলের আশে পাশে তাদের সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায় বলে স্থানীয় ভাবে তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। গ) তারা ঘটনার সহিত জড়িত থাকতে পারে মর্মে তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে তাদের বিরুদ্ধে তথ্যাদি পাওয়া যাইতেছিল।
   

No comments:

Post a Comment

Photography

Post Top Ad

Responsive Ads Here